উরুগুয়ে-পর্তুগাল লড়াই পরিসংখ্যানে
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
পর্তুগাল-উরুগুয়ে ম্যাচে বড় আকর্ষণ রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেস। আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হবেন সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার। শনিবার সোচির ফিশৎ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে দুই দল।
# এর আগে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। এক জয় ও এক ড্র নিয়ে এগিয়ে পর্তুগাল। অবশ্য দুই দলের শেষ দেখা হয়েছিল ১৯৭২ সালে।
# ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উরুগুয়ে। ১৯৫০ সালে আবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় তারা। এরপর বিশ্বমঞ্চে লাতিন দেশটির সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১০ সালে চতুর্থ স্থান অর্জন। ব্রাজিলে গত বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় হেরে বিদায় নেয় তারা। অন্যদিকে পর্তুগাল কখনোই বিশ্বকাপ জিতেনি। ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরে সেরা অর্জন- ১৯৬৬ সালে তৃতীয় ও ২০০৬ সালে চতুর্থ হওয়া।
# চলতি বিশ্বকাপের একমাত্র দল হিসেবে এখনও কোনো গোল হজম করেনি উরুগুয়ে।
# রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত উরুগুয়ের করা পাঁচটি গোলই এসেছে সেট পিস থেকে। এর মধ্যে কর্নার থেকে তিনটি, একটি সরাসরি ফ্রি-কিকে ও আরেকটি হয়েছে পরোক্ষ ফ্রি-কিকে। অন্যদিকে পর্তুগালের শেষ চার গোলের তিনটিই এসেছে ডি-বক্সের বাইরে থেকে।
# আন্তর্জাতিক ফুটবলে উরুগুয়ের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৫৩টি গোল করেছেন সুয়ারেস। ১০১ ম্যাচ খেলা সুয়ারেস দেশের হয়ে বিশ্বকাপে করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাত গোল। আট গোল করে উপরে শুধু অস্কার মিগেস। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে নিজের একমাত্র শেষ ষোলোর ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।
# পর্তুগালের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ও সবচেয়ে বেশি গোল করার দুটো রেকর্ডই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর দখলে। দেশের হয়ে পর্তুগাল অধিনায়ক ১৫২ ম্যাচ খেলে করেছেন ৮৫টি গোল।
# বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে ৪২৪ মিনিট খেলে এখনও কোনো গোলের দেখা পাননি রোনালদো।
# পেনাল্টি শুট আউট বাদ দিলে বড় কোনো টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ১৭ ম্যাচে মাত্র একটিতে হেরেছে পর্তুগাল, আট জয়ের সঙ্গী আট ড্র। একমাত্র হারটি ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে।
# ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ফের্নান্দো সান্তোস কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ২৭টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের মাত্র একটিতে হেরেছে পর্তুগাল।
# শেষ ১২ বছর ধরে উরুগুয়ের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন অস্কার তাবারেজ। এই সময়কালে এটি তার তৃতীয় বিশ্বকাপ। আগে আরও এক মেয়াদে উরুগুয়ে জাতীয় দলের কোচ ছিলেন তাবারেজ। সে সময় তার অধীনে ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে অংশ নেয় দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
# ডিফেন্ডার গিয়েরমো ভারেলা ও মিডফিল্ডার ক্রিস্তিয়ান রদ্রিগেস- উরুগুয়ে দলের মাত্র দুইজন খেলোয়াড় নিজের দেশের ক্লাবে খেলেন। দুজনেরই ঠিকানা পেনারল।
# পর্তুগাল দলের সাতজন জন্মেছেন দেশের বাইরে। আন্তনি লোপেস, রাফায়েল গেরেইরো ও আদ্রিয়েন সিলভা- এই তিনজনের জন্মস্থান ফ্রান্স। এ ছাড়া পেপে জন্মেছেন ব্রাজিলে, সেদ্রিচ জার্মানিতে, উইলিয়াম কারভালিয়ো অ্যাঙ্গোলা ও জেলসন মার্তিনসের জন্মস্থান কেপ ভার্দে।